Search

Translate This Page in Any Language [ Break the Language ]


Gaxon Technology News

কম্পিউটারে ক্ষতিকর ভাইরাসের জন্য ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেটকেও দায়ী করতে পারেন। সম্প্রতি গবেষকেরা ই-সিগারেটের মাধ্যমে কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণের প্রমাণ পেয়েছেন।
ই-সিগারেট মূলত ধূমপায়ীদের ধূমপানের নেশা কমানোর ব্যবস্থা। এটা ব্যাটারিচালিত এমন একটা ডিভাইস,
যা দেখতে সিগারেটের মতোই। এতে একাধিক চেম্বার থাকে। একটা চেম্বারে থাকে নিকোটিনের দ্রবণ, যাকে গরম করে তোলে অন্য চেম্বারে থাকা একটি ব্যাটারি। এই ব্যাটারি ইউএসবির মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যায়।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত অপরিচিত চীনা ই-সিগারেটগুলোর চার্জার ব্যবস্থায় ক্ষতিকর কোড বসানো থাকে। যখন ইএসবি পোর্টের মাধ্যমে চার্জ দেওয়া হয়, তখনই তা কম্পিউটারে আক্রমণ করে।
গবেষকেরা ই-সিগারেটের ক্ষেত্রে পরিচিত ব্র্যান্ডের বাইরে না যাওয়ার জন্যই পরামর্শ দিয়েছেন।
‘ই-সিগ’ বা ইলেকট্রনিক সিগারেট ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চালু হয়। বলা হয়, যাঁরা তামাকের সিগারেটে আসক্ত, তাঁদের জন্য ই-সিগ একটি কার্যকর বিকল্প। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ই-সিগ দেখতে অবিকল সিগারেটের মতোই। কিন্তু এর ভেতরে তামাকের পরিবর্তে থাকে তরল নিকোটিন। বিশেষ ব্যবস্থায় একে উত্তপ্ত করা হয়। তখন এই সিগারেট থেকে ধোঁয়া বেরোয়। ধূমপায়ীরা এতে এমনভাবে সুখটান দেন, যেন আসল সিগারেট খাচ্ছেন। এতে সরাসরি তামাক ব্যবহার করা হয় না, তাই স্বাস্থ্যের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয় বলে একটি কথা চালু রয়েছে। এ বিষয়ে সুনিশ্চিতভাবে কিছু বলার আগে যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

ধূমপানে নিরুৎসাহিত করা এবং ধূমপানের ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য ই-সিগারেটের ব্যবহার নিয়েও একমত নন গবেষকেরা। কেউ বলছেন, ই-সিগারেটের সমালোচনা উদ্বেগজনক এবং এর ব্যবহার অনেক মৃত্যু কমিয়ে আনতে পারে। কেউ বলছেন, ই-সিগারেট অধূমপায়ীদের ধূমপানে আগ্রহী করে তুলতে পারে।
ই-সিগারেট ম্যালওয়্যার ছড়ানোর যন্ত্র হিসেবেও এখন থেকে গবেষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

0 comments:

Post a Comment

Please.. Give Us to a Chance For Better Service... Gaxon
Leave a Comment...