:: Gaxon_Info ::
Try To Better Service....
::Info
:: ::
::Bangla_Problem::
:: Gaxon...Flash ::
-
▼
2014
(101)
-
▼
November
(12)
- সিগারেটের ভাইরাস কম্পিউটারে!
- বিয়ে যদি আবার করতেই হয়
- শাশুড়ির মন জয়ের সাতকাহন
- রাজনীতিতে রজনিকান্ত?
- Emotional stress affects women's heart more..
- Xiaomi / Mi Phone Is Now the World's 3rd Largest S...
- ছেলেদের ত্বকের যত্ন
- আলিবাবায় এক ঘণ্টায় দুইশ’ কোটি
- ১১ বছরে ফায়ারফক্স
- নকিয়ার পুনরুত্থান!
- পাখির জীবন বাঁচাতে পরিবেশবান্ধব কাচ
- WhatsApp to Provide Option to Disable Read Receipts
-
▼
November
(12)
:: Follow Us ::
Online Page Viewing..
Search
Translate This Page in Any Language [ Break the Language ]
08:45
Gaxon Inspired
সঙ্গী হারিয়ে কিংবা জীবনের অন্য কোনো বাস্তবতায় দ্বিতীয়বার যদি বিয়ে করতেই হয়, তখন অবশ্যই সন্তানদের সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে। তাদের মন বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে.....জীবনচিত্র ১: সন্তানের নিষেধাজ্ঞা
ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রীবিয়োগের পর ১৩ বছরের একমাত্র মেয়ে অহনাকে নিয়ে স্তব্ধ হয়ে রইলেন নিজাম হোসেন। বুকের নোঙর উপড়ে প্রিয়জনেরা এভাবেই চলে যায়। চলে যেতে হবে সবাইকে—এই সত্য উপলব্ধি করে শোক সামলে ঘুরে দাঁড়ালেন ৩৯ বছরের নিজাম।
মায়ের স্মৃতি বুকে নিয়ে শোকে বিহ্বল অহনাও একসময় আবার শুরু করল স্কুলে আসা-যাওয়া। বাবা ছাড়া কিছুই বোঝে না সে। কোনো বিষয়ে ছাড় দিতে চায় না বাবাকে। একদিন খাবারের টেবিলে খোশমেজাজে বাবার উদ্দেশে বলল, ‘তুমি কিন্তু আর কখনোই বিয়ে করতে পারবে না। বিয়ের জন্য আমার অনুমতিও পাবে না, জানিয়ে রাখলাম। মায়ের আসনে আর কাউকে বসতে দেব না আমি, বুঝেছ?’
‘বুঝেছি।’ বললেন নিজাম।
জীবনচিত্র ২: বাপের বাড়ির চাপ
জীবনের বাঁধ ভেঙে গেছে। আচমকা সড়ক দুর্ঘটনায় একেবারেই চলে গেছেন প্রতিষ্ঠিত আস্থাবান স্বামী। কষ্ট সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তবু চলে জীবন। সময় যায়, শোক স্থিত হতে না হতেই ১০ বছরের মেয়ে আর ১২ বছরের ছেলেকে লালন-পালনের দায়িত্বের শৃঙ্খলে আটকে পড়েন ৩৫ বছরের সানজানা। ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট আছে নিজের নামেই। ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকাসহ আর্থিক নিরাপত্তাও রয়েছে তাঁর। রয়েছে বিত্তশালী বাবা-মায়ের নিঃশর্ত সহায়তা। বেঁচে থাকার জন্য, সন্তানদের মানুষ করার জন্য কোনো বেগ পাওয়ার কথা নয় তাঁর। তবু সানজানার চলার পথে তৈরি হতে লাগল জীবনের নতুন ঘূর্ণি।
স্বামী মারা যাওয়ার দুই বছর পর ঘনিষ্ঠজনেরা আবার বিয়ে করার জন্য ‘স্কাড’ ছুড়তে লাগলেন সানজানার দিকে। আশপাশের পুরুষেরাও নানা কৌশলে ফাঁদ পাততে লাগলেন, প্রলোভিত করতে লাগলেন সানজানাকে। পুরুষদের পাতা ফাঁদ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেও স্বজনদের পীড়াপীড়ি থেকে রেহাই পেলেন না তিনি। বিপত্নীক এক প্রকৌশলীকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেলেন। সন্তানদের অনুমতি চাইলেন। নীরব হয়ে গেল তারা। হ্যাঁ-না কিছুই না—কোনো প্রতিক্রিয়াও দেখাল না আচরণে।
জীবনচিত্র ৩: চেনা-অচেনা পুরুষের লোভ-লালসা
শ্বশুরবাড়িতে পা দেওয়ার পরই স্বপ্নের পতন ঘটল রাহার। কানকথা ভেসে এল কানে, ‘কেবল চেহারা ফরসা হলে হয়? উচ্চশিক্ষিত হলেই চলবে? মেয়ে তো দেখছি খাটো!’ নতুন জীবনের উচ্ছ্বসিত আনন্দময় মুহূর্তগুলো আচমকা থেমে গেল কানকথার বিষবাণে। জীবনের নোঙর গেড়ে বসেনি আর শ্বশুরবাড়িতে। নিজের বাড়িতে ফিরে আসার পর আর যাননি ওই বাড়ি। আরও নানা তিক্ত কাহিনির পর তালাকনামা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ডিভোর্সের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই টের পেতে লাগলেন চারপাশের চাপ। মুঠোফোন, ফেসবুক প্রযুক্তির অশুভ আক্রমণসহ চেনা-অচেনা মানুষের আনাগোনা, লোভ-লালসা যেন অরক্ষিত করে তুলল তাঁকে। একই সঙ্গে যুক্ত হলো নিজের বাড়িতে একমাত্র ভাইয়ের বউয়ের নানা কূটচাল। দুর্বিষহ হয়ে উঠল রাহার জীবন।
মনোবিশ্লেষণ
মেয়ে অহনাকে দেওয়া কথা রাখতে পারেননি নিজাম হোসেন। নৈতিকভাবে পুরুষ সত্তার জৈবিক চাহিদা মেটানো, সামাজিকতা রক্ষা করতে গিয়ে বিয়ে করে ফেললেন অবিবাহিত এক তরুণীকে।
আরেকবার জখমপ্রাপ্ত হলো অহনার আবেগ। তার চিন্তার জগৎ ছেয়ে গেল অনিশ্চয়তার কালো মেঘে। মাকে সে হারিয়েছে রোগের কারণে। আর বাবা আবার বিয়ের করার পর তার মনে হতে লাগল, বাবাকে হারাচ্ছে অন্য নারীর কারণে। নিজেকে জখমের পর জখম করে ভুল উপায়ে উপশম ঘটাতে চাইল রক্তাক্ত মনের।
নিজাম কি ভুল করেছেন?
না, বিয়ে করে ভুল করেননি—এই বয়সে আবার বিয়ে করে শরীর-মন, সমাজের দৃষ্টিমতে ঠিক কাজটিই করেছেন তিনি। কিন্তু একটি বড় ভুল করে ফেলেছেন তিনি। বিয়ের আগে অবশ্যই অহনাকে রাজি করিয়ে নেওয়া উচিত ছিল তাঁর। নিজে না পারলে, স্বজনদের উদ্যোগও ব্যর্থ হলে তাঁদের উচিত ছিল অহনাকে মনোচিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা। তবে নানা জীবনযন্ত্রণা ভোগ করে একসময় অহনা মেনে নেয় সৎমাকে। কিন্তু বাবাকে গোপনে এক শর্ত দেয় সে—যেন নতুন মায়ের কোলে কোনো সন্তান না আসে।
কথা দিয়েও সেই শর্ত রাখতে পারেননি নিজাম। নতুন স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি জেনে যায় অহনা। এবার সে আত্মহননের জন্য চূড়ান্ত চেষ্টা করে। হাসপাতাল থেকে জান নিয়ে ফেরত আসে অহনা। উন্নতির একপর্যায়ে মনোচিকিৎসার একটি ধাপে মনোবিদ তাকে প্রশ্ন করলেন, ‘তোমার সবচেয়ে আপন কে?’
‘বাবা ছাড়া কেউ নেই আর।’ সহজ উত্তর অহনার।
‘বাবা কেন তোমার অতি আপন?’
এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি সে। উত্তরটা দিলেন মনোবিদই, ‘তোমার দেহমন জুড়ে রয়েছে তোমার বাবা-মায়ের জিনগত অস্তিত্ব। জিনের তীব্র টানেই বাবার প্রতি তুমি মমত্ববোধ অনুভব করো। তুমিই বলো, বাবা কি চিরকাল বেঁচে থাকবে?’
উত্তর না দিয়ে মাথা নত করে থাকে অহনা।
মনোবিদ আবার বললেন, ‘যে নতুন শিশু তোমার সৎমায়ের পেটে বেড়ে উঠছে, সেও কিন্
Subscribe to:
Post Comments
(Atom)
0 comments:
Post a Comment
Please.. Give Us to a Chance For Better Service... Gaxon
Leave a Comment...