Search

Translate This Page in Any Language [ Break the Language ]


বুক ধুক ধুক করে? গলা শুকিয়ে আসে? ‘ইয়ে...মানে...আসলে...কীভাবে বলি...’ এই করে করে দিন পার করছেন। তবু মনের মানুষকে কথাটা বলার সাহস আর হচ্ছে না। এক কাজ করুন; ছোট্ট একটা চিরকুটে লিখুন, ‘আমি তোমাকে “তিন-এর কম”!’ এতে যদি ব্যাপারটা ঠিক বোঝা না যায়, পছন্দের মানুষকে এই ফিচারটি পড়ার পরামর্শ দিন....

ইমোশন (Emotion) আর আইকন (Icon), দুটো শব্দ মিলে হয়েছে ইমোটিকন (Emoticon)। বাংলায় বলা যায় ‘অনুভূতির সংকেত’। মেসেঞ্জার, ফেসবুক, ভাইবারে চ্যাট করার সময় কিংবা মুঠোফোনে খুদে বার্তা লিখতে গিয়ে হরহামেশাই আমরা ইমোটিকন ব্যবহার করছি। লেখার সঙ্গে পৌঁছে যাচ্ছে অনুভূতির সংকেত। ইমোটিকনের ভাষায় <3 চিহ্নটি হলো ভালোবাসা। গাণিতিকভাবে এটা হলো ‘তিনের কম’। ইমোটিকনে ব্যবহৃত বেশির ভাগ চিহ্নই গাণিতিক। গণিতের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কটা পুরোনো। কয় বছর আগেও শহর-গ্রামের অলিগলি, পার্কের দেয়ালগুলোতে চোখে পড়ত মজনু+মলি, জনি+জুলেখা বা অমুক+তমুক। যোগ চিহ্নের দিন ফুরিয়েছে। ফেসবুকে নিজের একটা ‘দেয়াল’ পেয়ে প্রেমিক জুটিরাও শহরের দেয়ালগুলোকে কিছুটা রেহাই দিয়েছেন। এখন সময়টা <3-এর!
শুধু ভালোবাসা নয়। এ-কান, ও-কান হাসি, ঠোঁট ওল্টানো বেজার মুখ, ভেংচি কাটা দুষ্টুমি কিংবা চোখ গোল করে হাঁ করা বিস্ময়—যেকোনো অনুভূতি ছুড়ে দিতে পারেন ইমোটিকনের মাধ্যমে। চান তো:* চেপে ভালোবাসার মানুষটির কাছে পৌঁছে দিতে পারেন একখানা ভার্চুয়াল চুমু! তবে এই ইমোটিকন দেওয়া-নেওয়ার সময় স্কট ফালম্যানকে মনে মনে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না।
স্কট ফালম্যান যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কম্পিউটার গবেষক। ধারণা করা হয়, তিনিই ইমোটিকনের জনক। ১৯৮২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনিই প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন, বার্তার সঙ্গে কিছুটা হাস্যরস যোগ করতে:) বা:(চিহ্ন ব্যবহার করা যায়। অনেকে মনে করেন, ইমোটিকন আবিষ্কার হয়েছিল এরও অনেক আগে। ১৮৬২ সালে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের একটি লিখিত বক্তৃতায় ;) চিহ্নটি পাওয়া যায়। কারও কারও মন্তব্য, এটা ছিল স্রেফ টাইপিংয়ের ভুল।
এতসব ইতিহাস জেনে আপনি হয়তো ওদিকে:/ মুখ করে বসে আছেন। আহা, নিত্যদিনই ব্যবহার করছেন যেসব ইমোটিকন, তাদের ইতিহাসটা জানবেন না? কম্পিউটারের কি-বোর্ড কিংবা মুঠোফোনের কিপ্যাডে এসব চিহ্নের পর স্পেস চাপলেই হলুদ গোলগাল মুখের একটা অবয়ব চলে আসে। মজার ব্যাপার হলো, ইমোটিকনের জনক স্কট ফালম্যানের নাকি এই মুখ একেবারেই পছন্দ না। মুখের চেয়ে স্রেফ চিহ্নগুলোই তাঁর কাছে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়। সে ক্ষেত্রে জানিয়ে দিচ্ছি আরও চমকপ্রদ তথ্য। নিজের চেহারার আদলে একটি মুখের ছবি যেন ইমোটিকন হিসেবে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা করছেন কিছু প্রোগ্রামার। চ্যাট বক্সের ও প্রান্তের মানুষটিও বার্তার সঙ্গে খুঁজে পাবেন আপনার মুখ! তার আগ পর্যন্ত এবারের ভালোবাসা দিবসটা <3–এর সঙ্গেই কাটুক, </3-এর সঙ্গে নয়। ;)
স্টিকার
ইমোটিকনের পাশাপাশি আজকাল স্টিকারও বেশ জনপ্রিয়। ডেসপিকেবল মি ছবির মিনিয়ন কিংবা ওয়ান লাইনার ড্রয়িংসহ মজার সব স্টিকার দেওয়া থাকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে। ইচ্ছামতো স্টিকার বেছে নেওয়া যায়। ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপেও প্রচুর স্টিকার আছে।
ভালোবাসা দিবসের দুটি অ্যাপ
বাবল ম্যানিয়া
এটি একটি ধাঁধার গেম। ভালোবাসার জটিল ধাঁধায় যদি হাবুডুবু খেয়েই থাকেন, চাইলে এই গেম খেলে কিছুটা চাঙা হয়ে নিতে পারেন। গুগল প্লেস্টোর থেকে নামিয়ে নিতে পারেন ভালোবাসা দিবসের স্পেশাল বাবল ম্যানিয়া।

0 comments:

Post a Comment

Please.. Give Us to a Chance For Better Service... Gaxon
Leave a Comment...