Search

Translate This Page in Any Language [ Break the Language ]

ফেসবুক-টুইটারে বন্ধুত্ব, কর্মক্ষেত্র বা সামাজিক পরিসরে সরাসরি পরিচয়। যোগাযোগ যেভাবেই হোক না কেন, দুজন নারী-পুরুষের মধ্যে মানসিক যোগাযোগে বিভ্রাট হতেই পারে। অনেক সময় তা থেকে বড় ধরনের ভুল বোঝাবুঝিও হতে পারে। এক পক্ষ হয়তো নিছকই বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথাই ভাবছে.....
কিন্তু অন্য পক্ষের মনে আছে বিশেষ কোনো সম্পর্কের চিন্তা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বন্ধুত্ব কিংবা যৌনসংসর্গ নিয়ে নারী ও পুরুষের এই যোগাযোগ বিভ্রাটের অনেকটাই জৈবিক বৈশিষ্ট্যের কারণে ঘটে। ইন্দো এশিয়ান নিউজ অবলম্বনে প্রতিবেদন।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, নারীদের অনেকে মনে করেন, অনেক পুরুষই নারীর বন্ধুত্বের অভিব্যক্তিকে যৌনসংসর্গের ইঙ্গিত বলে ধরে নেন। আর অনেক পুরুষেরা মনে করেন, অনেক নারীই পুরুষের যৌনাকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিতকে নেহাতই বন্ধুত্বের বার্তা বলে ভুল করেন।

নরওয়েজিয়ান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মনস বেনডিক্সেন বলেন, ‘বিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিত থেকে দেখলে এই গবেষণার ফলে বিস্ময়ের কিছু নেই।’ বেনডিক্সেনের নেতৃত্বাধীন গবেষণা দলটি ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩০৮ জন নারী-পুরুষের ওপর এ বিষয়ে গবেষণা চালায়। গবেষণায় অপর লিঙ্গের সঙ্গে এই যোগাযোগ বিভ্রাটের চিত্র উঠে আসে।

গবেষণার ফলে বলা হয়েছে, নারী-পুরুষ উভয় পক্ষই সামাজিক যোগাযোগে অপর লিঙ্গের সঙ্গে এই ভুল বোঝাবুঝির শিকার। গবেষণায় অংশগ্রহণ নারীরা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণকে পুরুষেরা যৌনসম্পর্কের ইঙ্গিত হিসেবে ভুল বুঝেছেন। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী সাক্ষাৎকারদানের আগের এক বছরে গড়ে সাড়ে তিনবার এমন ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়েছেন ওই নারীরা। অন্যদিকে, পুরুষেরাও একই রকম ভুল বোঝাবুঝির শিকার হওয়ার কথা বললেও তা নারীদের তুলনায় বেশ কম।

গবেষক মনস বেনডিক্সেন বলেন, বিবর্তনী জীববিজ্ঞানের পরিপ্রেক্ষিত থেকে দেখলে এটা অস্বাভাবিক নয়। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘একজন পুরুষের প্রজননক্ষমতার পরিচয় তাঁর সন্তান সংখ্যা দিয়ে বোঝা যায়। আর তা নির্ভর করে কয়জন নারীর গর্ভে তাঁর ঔরসজাত সন্তান জন্মাচ্ছে তার ওপর। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি তেমন নয়। কেননা, একজন নারী স্বল্প সময়ের মধ্যে একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌনসংসর্গ গড়ে তুললেও তিনি কেবল এক পুরুষেরই সন্তান ধারণ করতে পারবেন।’

ফলে, একজন পুরুষের দিক থেকে কোনো নারীর সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপনে তিনি সুবিধাজনক অবস্থানে থাকেন। কিন্তু একজন নারীকে এমন সম্পর্কের জন্য সন্তান ধারণ, লালনপালনের ঝুঁকি তো নিতেই হয়, উপরন্তু তিনি একটা নির্দিষ্ট সময়ে অন্য কোনো পুরুষের সন্তান ধারণের সুযোগও হারান।

বেনডিক্সেন বলেন, হাজার হাজার বছর ধরে নারীর মানসিক গঠন বিবর্তিত হয়েছে এই ঝুঁকিকে ঘিরে। ফলে কোনো পুরুষের সঙ্গে যৌনসম্পর্কের আগে নারী অনেক বেশি নিশ্চয়তা চান। অন্যদিকে, পুরুষেরা জৈবিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকায় তাঁরা এ পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।


বিবর্তনী মনোবিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে আরও বলা হয়েছে, কোনো নারী সত্যিই যৌনসংসর্গের ইঙ্গিত দিলে পুরুষেরা সাধারণত তা বুঝতে ভুল করেন না। গবেষকেরা আরও মন্তব্য করেছেন, নারী ও পুরুষের এমন যোগাযোগের বিষয়টি তাঁরা কোনো স্থায়ী সম্পর্কে আবদ্ধ আছেন কি না, তার ওপর নির্ভর করে না।

0 comments:

Post a Comment

Please.. Give Us to a Chance For Better Service... Gaxon
Leave a Comment...