Search

Translate This Page in Any Language [ Break the Language ]


কৃত্রিম বা বায়োনিক হাতটি মানুষের তৈরি। তবে শরীরে সংযোজনের পর এটি নিছক জড় বস্তু থাকবে না। মন বা মস্তিষ্কের সাহায্যে যেমন রক্তমাংসের হাত নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তেমনি এই বায়োনিক হাতের ওপরও থাকবে মনের নিয়ন্ত্রণ। ইউরোপের একদল চিকিৎসক এই কৃত্রিম হাত উদ্ভাবন করেছেন। যেসব রোগী নিজেদের হাতের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে, নতুন এই পদ্ধতি তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।
ল্যানসেট সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনা ও পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে হাত অচল হয়ে পড়েছিলএমন তিনজন অস্ট্রেলীয় রোগী বিশেষ কৌশলের ওই বায়োনিক হাতের সুবিধা ভোগ করছেন.......

তাঁদের তিনজনের শরীরে ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৪ সালের মে মাসের মধ্যে ওই বায়োনিক হাত যুক্ত করা হয়। তাঁরা এখন হাতে বল নেওয়া, জগ থেকে পানি ঢালা, চাবি দিয়ে তালা খোলা, ছুরির সাহায্যে ফল কাটা, দুই হাত ব্যবহার করে বোতাম লাগানো ইত্যাদি নিত্যকর্ম সম্পাদন করতে পারছেন।
কোনো আঘাতের ফলে স্নায়ুতন্ত্রের ব্রাকিয়াল প্লেক্সাস নামের যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হলে হাতে স্থায়ী পক্ষাঘাত হতে পারে
চিকিৎসা১. রোগীর সম্মতি নিয়েই তাঁর অচল হাত কেটে বাদ দিয়ে কৃত্রিম হাতটি সংযোজন করা হয
২. শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে স্নায়ুকোষ ও মাংসপেশি সংগ্রহ করে কবজিতে লাগানো হয়
৩. এতে মস্তিষ্ক কিছু বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে কৃত্রিম হাতটির সঙ্গে যুক্ত হয়

৪. এসব সংকেতের সাহায্য নিয়ে কৃত্রিম হাতটি নানাভাবে ব্যবহার করা রোগীর জন্য সম্ভব হয়। এতে তার জীবনযাত্রার ধরন পাল্টে যায়

0 comments:

Post a Comment

Please.. Give Us to a Chance For Better Service... Gaxon
Leave a Comment...